মায়াজাল চ্যানেলের মত ভিডিও কিভাবে তৈরী করবেন। How to make mayajal channel Video
ইউটিউব কপিরাইট এবং কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইকঃ
কপিরাইট শামীম রেজা/
কপি করা নিষেধ ।
ইউটিউবে দুই ধরনের রুলস রয়েছে একটি হলো কপিরাইট অপরটি হলো কমিউনিটি গাইডলাইন।
কপিরাইট মানে হচ্ছে কারো কোন কিছু কপি করে নিজের ভিডিওতে এড করা হোক সেটা মিউজিক হোক সেটা ভিজুয়ালাইজেশন হোক সেটা ইমেজ।
আর কমিউনিটি গাইডলাইন মানে হচ্ছে ইউটিউব যেহেতু একটি সোসাইল মিডিয়া এখানে কোটি কোটি মানুষের আনাগোনা তাই যারা অডিয়েন্স আছে বা ইউটিউবের দর্শক আছে যাতে তাদের কোন প্রকার ক্ষতি না হয় কোন ভিডিও দেখে প্রতারিত না হয় তাই ইউটিউবের কিছু গাইডলাইন স্ট্রাইক রয়েছে।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এটা কিভাবে কাজ করে কেনো এটা জরুরী, বিষয়টি আমি আরো ক্লিয়ার করে বলছি ।
আপনি যদি আপনার চ্যানেলে কিছু কন্টেন্ট রাখেন এবং আপনি একটি ভিডিও তৈরী করছেন তখন অন্য কারো ২০ সেকেন্ডের একটি মিউজিক কপি করে আপনার সেই ভিডিওতে এড করেছেন ঐ মিউজিকের অওনারের পারমিশন ছাড়া। আর এই ভাবে ভিডিও তৈরী করার পর ভিডিওটি যখন ইউটিউবে আপলোড করবেন তখ ইউটিউব এর কিছু মেশিন আছে যেটি আপনার ভিডিও রিয়লাইজ করবে যে আপনি কারো কন্টেন্ট কপি করেছেন কিনা , যেহেতু আপনি অন্যের মিউজিক কপি করেছিলেন সেহেতু সেই ভিডিওতে ইউটিউব আপনাকে একটি স্তড়াইক দিয়ে দিবে । তিন মাসের জন্য এক একটি স্ত্রাইক স্থায়ী হবে এখন আপনি তিনটি ভিডিওতে তিনটি কপিরাইট স্ট্রাইক ইউস করেছেন তখ আপনার তিনটি ভিডিওতেই তিনটি স্ত্রাইক আসবে এমথাবস্থায় যদি তিন মাসের মধ্যেই এক সাথে আপনার চ্যানেলে তিন তিনটি স্ট্রাইক আসে তাহলে আপনার চ্যানেলোটি ৭ দিনের মধ্যেই সাস্পেন্ড হয়ে যাবে ।
মানে আপনি আর কোন দিন আপনার নিজের আইডেন্টি দিয়ে আর ইউটিউবে কাজ করতে পারবেন না , দুক্ষের বিষয় হলো আপনার যদি আরো একাধিক ইউটিউব চ্যানেল থাকে আপনার একই আইডেন্টি দিয়ে তাহলে সে চ্যানেল গুলো ও আপনার সাস্পেন্ড করে দিবে ইউটিউব এককথায় যদ বলি আপনি আর ইউটিউবে আপনার আইডেন্টি দিয়ে কাজ করতে পারবেন না তাই আপনাকে পরিপুর্ন কপিরাইট সম্পর্কে ধারনা দিবো। যাতে করে আপনি আপনার চ্যানেল সেইভ রাখতে পারেন।
একই ক্ষেত্রে ইউটিউব গাইডলাইন স্ট্রাইক আপনার চ্যানেলে যদি তিনমাসের মধ্যেই তিন তিনটি গাইডলাইন স্ট্রাইক পরে থাওলেও ৭ দিনের মধ্যেই ইউটিউব কর্তিপক্ষ আপনার চ্যানেলটি চিরজিবনের জন্য সাস্পেন্ড করে দিবে।
আবার একই ভাবে আপনার সকল ইউটিউব চ্যানেল সাস্পেন্ড করে দিয়ে আপনাকে ইউটিউব ব্লক করে দিবে আপনার আইডেন্টি দিয়ে ইউটিউবে যত প্রকার চ্যানেল আছে সব সাস্পেন্ড করে দিবে আপনি আর কোন দিন এই প্লাট ফর্মে কাজ করতে পারবেন না।
আবার একই ভাবে যদি তিনটির কম স্ট্রাইক পরে তাহলে প্রত্যেক স্ট্রাইকের মেয়াদ তিন মাস পর শেষ হয়ে যাবে এতে করে চ্যানেল সাস্পেন্ড হবেনা তবে একটি যেকোন কপিরাইট ও কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক থাকলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের লাইভ স্টিমিং অপশন বন্ধ করে দিবে এখন আপ[অনি প্রশ করতে পারেন যে লাইভ স্ট্রিমিং কি ?
এটা হলো একটা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের অপশন এই অপশনটির মাধ্যমে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যে কোন প্রগ্রাম লাইভ টেলিকাস করতে পারবেন। যাই হোক এটা নিয়ে আমরা বিস্তারিত পরে জানবো। এবার আপনার চ্যানেলে যদি দুইটি স্ট্রাইক (কপিরাইট অথবা কমিউনিটি গাইডলাইন) থাকে থাহলে কি সমস্যা হবে? দুটি স্ট্রাইক থকলে আপনার চ্যানেলের লাইভ স্ট্রিমিং ও ভিডিও আপলোড বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখন আপনি বপ্রশ্ন করতে পারেন ভাইয়া ভিডিও আপলোড টা কি ?
আপনি আপনার চ্যানেল কিন্তু ভিডিও আপলোড করার জন্য খুলেছেন তাই নতুন করে আর কোন ভিডিও আপনি আপলোড করতে পারবেননা । বিস্তারিত থাকছে নিচে সেগুলো মনোযোগ সহকারে দেখুন।
কপিরাইট স্ট্রাইকঃ
উপরের আর্টিকেলে আপনি একোটু হলেও বুঝেছেন যে কপিরাইট স্ট্রাইক কি এখন জানবো এটা কত প্রকার আর কিভাবে কিভাবে কাজ করে।
কপিরাইট স্ট্রাইক আমার ভাষায় দুই প্রকারঃ
১। অটোমেটিক স্ট্রাইকঃ
যেখানে ইঊটিউব তাদের অটোমেটিক রোবট ও মেশিনের সাহায্যে যেই ভিডিও টা ইন্ডিকেট করে এবং টেক ডাউন (রিমুভ) করে দেয় ।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন তারা অটোমেটিক্যালি কোন কোন জিনিস গুলো ডিটেক্ট করে নিচে সেগুলো দেওয়া হলো পরে সসেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
· অডিও
· সাউন্ড রেকর্ডিং এবং মিউজিক্যাল কম্পজিশন (কারাওকে)
· যে কোন বই,লেকচার আর্টিক্যেল
· ভিসুয়াল ওয়ার্ক যেমন পেইন্টিং পোস্টার এডভার্টাইসমেন্ট
· ভিডিও গেমস
· যে কোন সফটোওয়ার
· আইডিয়া
· ফেক্টস
· যে কারো নাম অথবা চ্যানেল নাম
· ভিডিও টাইটেল ইত্যাদি
ম্যামুয়াল স্ট্রাইকঃ
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইউটিউব অটোমেটিক স্ট্রাইক দেয়না তার কারন হলো ফেয়ার ইউস (নিউস ইডুকেশনাল রিসার্চ পারপাস মেডিক্যাল পারপাস অন্যের কিছু ভিডিওর অংশবিশেষ নিয়ে যে কোন ভিডিও ম্যাক করাকে ফেয়ার ইউস বলে ) আর একটা বড় কারন হলো অওনার পারমিশন ( এটার মানে হলো কারো একটা গান আছে তারকাছে আপনি মৌখিক পারমিশন নিলেন নেওয়ার পর তার মিউজিক টাকে আপনি মডেলিং এ রুপ দিলেন)
ইউটিউব এর সাথে আঅনার আমার যেমন কোন দুষমনি নাই সেই ক্ষেত্রে ইউটিউব সব সময় একটা মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবন কমিউনিটি তে যাতে কারো কোন সমস্যা না হয় সেটা ইউটুব দেখে এবং সেটা ম্যানেজ করার চেস্টা করে।
তাই শুধুমাত্র এই একটি কারনের কারনে ইউটিউব অটোমেটিক স্ট্রাইক দেয়না। আর কিছু খারাপ ও অসাধু আছে যারা এই ফাক টিকে কাজে লাগায়।
বাট ইউটিউব এটাকে কিছু অংশে কমানোর জন্য মেনুয়াল স্ট্রাইকের আবেদন ফরম রেখেছে যদি কোন অসাধু ব্যাক্তি তার সার্থে আপনার ভিডীও কপি করে তাহলে আপনি সেই ভিডিওতে মেনুয়াল স্ট্রাইক দিতে পারবেন।
আবার এই সমস্যা সমাধানের জন্য ইউটিউব কন্টেন্ট আইডির (এটার মানে হলো কপিরাইট প্রটেক্ট করা এটার জন্য আপনাকে ইউটিউবের কাছে আবেদন জানাতে হবে এটা একটা এমন সিস্টেম ইউটিউব আপনাকে আপনার চ্যানেলের জন্য কিছু ফিচার এড করে দিবে যেটার মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন সারা পৃথীবিতে কে কে আপনার ভিডীও ইউস করছে আপনি চাইলে তাদের স্ট্রাইক ও সেই ভিডীও থেকে অর্জিত অর্থ কেড়ে নিতে পারবেন) সিস্টেম রেখেছে ।
মেনুয়াল স্ট্রাইক কিভাবে দিবেন কি করবেন বিস্তারিত থাকছে নিচে তার আগে আম,অরা একোটা জিনিস জেনে নেই তাহলে আমরা কিভাবে কাজ করলে কপিরাইট স্ট্রাইক আসবেনা । উপায় গুলো কি কি
· ভিডিওর নিচে ক্রেডিট দেওয়া
· রিফান্ড ফ্রম মনিটাইজেশন
· পার্চেস ভিডিও সিডি ডিভিডি আইটিউন্স
· রেকর্ডেড দা কন্টেন্ট ইউর সেলভ টিভি এ মুভি থিয়েটার এবং রেডিও
· নো কপিরাইট ইনফ্রিগ্মমেন্ট ইন্ট্রেন্ডেন্ট
এগুলো হলো ক্রিয়েটিভ কমন ভিডিওর মাধ্যমে কপিরাইট প্রটেক্ট করা বাট ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্সের ভিডিওর কিছু প্রবলেম আছে তা জানবো বিস্তারিত নিচে।
এখন আপনি আমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারেন যে ইউটিউব কি কপিরাইট ডিট্যাক্ট করতে পারে?
ইউটিউব নিজেই বলতেছে যে আমরা কপিরাইট ডিট্যাক্ট করতে পারিনা এইজন্য আপনাকে ম্যানুয়াল কপিরাইট স্ট্রাইক পাথাতে হবে । তাহলে আমরা আপনার স্ট্রাইক টি এক্সসেপ্ট করবো এবং যে কপি করেছে তাকে সাবমিট এ কাউন্টার নটিফিকেশন অপশন দিবো।
আর যদি আপনি কোন কন্টেন্ট আইডির কোন কিছু কপি করেন তাহলে ইউটিউব আপনাকে স্ট্রাইক দিবে এবং যে কপি করেছে তাকে ডিস্পুট করতে বলবে। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন কাউন্টার নটিফীকেশন ও ডিস্পুট কি সেগুলো আমরা পরে বিস্তারিত জানবো।
প্রকৃত পক্ষে ইউটিউব শুধু কপিরাইট দেওয়া নেওয়া এর একটা দালাল হিসেবে কাজ করবে।
ইঊটিউব ট্রেডমার্ক কপিরাইট রুলসঃ
কপিরাইট মানেই হচ্ছে এই প্রপার্টি টা আপনার নয়। এটা শুধে ট্রেডমার্কের ক্ষেত্রে না সব ক্ষেত্রেই সমান। ট্রেডমার্কে যা যা প্রটেক্ট করা হয় যেমনঃ
· কোন ব্রান্ডের নাম
· কোন ব্রান্ডের লঘো
· কোন মটর কোম্পানি ইত্যাদি
যদি আপনার কোন জিনিসের অওনার আপনি হোন আর এটা যদি অন্য কেউ ইউস করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আপনি স্ট্রাইক অথবা মামলা করতে পারবেন।
প্রাইভেসি পলিসি কপিরাইট রুলসঃ
কেউ যদি আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে অথবা আপনার পারসোনাল কোন ছবি ভিডিও অথবা কোন অডিও চুরি করে আপনার পারমিশন ছাড়া এবং আপনার নামে কেলেংকারি করে যা ইউটিউবের রুলস ভায়োলেট করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আপনি ব্যাবস্থা নিতে পারবেন। এই জন্য কোন কিছু কমপ্লেইন করার জন্য নিচের লিংকে কে ক্লিক করুন।
https://support.google.com/youtube/answer/142443
ইউটিউব কপিরাইট নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ
ফেয়ার ইউসঃ
ফেয়ার ইউটিলিটি একটি আইনী মতবাদ যা বলে যে আপনি কপিরাইটের মালিকের অনুমতি ছাড়াই কপিরাইট-সুরক্ষিত উপাদান নির্দিষ্ট অবস্থার অধীনে পুনরায় ব্যবহার করতে পারেন। নিখুঁত ব্যবহারের সহায়ক উদাহরণগুলির জন্য নীচে দেখুন।
ফেয়ার ইউস গাইডলাইনঃ
বিভিন্ন দেশের কপিরাইট মালিকের অনুমতি ব্যতীত তাদের উপাদান ব্যবহার করার সময় এটির ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রয়েছে । উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, মতামত, সমালোচনা, গবেষণা, শিক্ষা বা সংবাদ প্রতিবেদনগুলিতে যথাযথ ব্যবহারের জন্য বিবেচিত হতে পারে। ইউনাইটেড স্টেটের মত অনেক দেশেই একই নিয়ম।
কোন কোন কাজে আপনি এই কপিরাইট জিনিস গুলো ইউস করতে পারবেন তা আপনার দেশের কোট বিশ্লেষণ করবে। আপনি কপিরাইট প্রটেক্টেড (স্টান্ডার্ড লাইসেন্স) যে কোন ভিডীও আপনার চ্যানেলে যে কোন পারপাসে আপলোড করার আগে আপনাকে আপনার এলাকার আইন অনুযায়ী একজন এক্সপার্টের পরামর্শ নিতে হবে এটা আপনার জন্য ভালো হবে।
ফেয়ার ইউসের চারটি কারনঃ
যুক্তরাষ্ট্রের চারটি নিয়ম হলো এখানকার একজন বিচারক তা নির্ধারন করে দিবে যে সে কি কি কারনে ফেয়ার ইউস করতে পারবে যে কোন কপিরাইট ম্যাটরিয়ালস, কপিরাইট অওনারের পারমিশন ছাড়া।
১। বিসনেস পারপাসে, ধরেন সে একটা শামীম লেম মোবাইল তৈরী করেছে আর আপনি একটি শামীম টেক মোবাইল তৈরি করেছেন এখন কোন মোবাইলটা বেশি ভালো এই কারনে আপনি সেই কম্পানির মোবাইলটির ভিডিও কপি করে আপনার মোবাইলটি তার থেকে ভালো এটা প্রমান করার জন্য আপনি ফেয়ার ইউস করতে পারবেন। তাছাড়া অলাভজনক এবং ইডুকেশনাল পারপাসে আপনি ফেয়ার ইউসের আওতায় পড়বেন।
এখানে আরো একটি কথা আছে যে কোর্ট সবসময় একটা জিনিস লক্ষ করবে যে আপনি কি কি নতুন জিনিস এড করেছেন অরিজিনাল জিনিসের থেকে মানে যেটা আপনি কপি করেছেন আর আপনি যেটা তৈরি করেছেন আপনার ভিডীওটার মধ্য নতুনত্ত কি আছে, কোর্ট সেটা দেখবে আপনি যদি তাদের ভিডীও টা সম্পুর্ন কপি করে আপলোড করেন তাহলে আপনি ফেয়ার ইউসের আওতায় পড়বেন না এবং আপনার ভিডীও টি মনিটাইজ করতে পারবেন না। অন্যথায় আপনি যদি ভিডিওর কিছু অংশ কপি করেন এবং সেটা যদি বিজনেস পারপাসে হয় তাহলে আপনার ক্ষেত্রে কপিরাইট স্ট্রাইক কনসিডার করা হবে এবং আপনার ভিডিও ফেয়ার ইউসের মধ্য পড়বে।
২। প্রাথমিক ভাবে কোন ম্যাটরিয়াল কে বা কাজ কে আরো সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার জুন্য বাস্তবিক ও কল্পানায় রুপ দেওয়ার জন্য আপনি ফেয়ার ইউসের আওতায় পড়বেন।
৩। অন্যার ভিডিও থেকে কিছু অংশ জিনিস যদি আপনি কপি করে আপনার ভিডিওতে ইউস করেন তাহলে আপনি ফেয়ার ইউসের আওতায় পড়বেন। তবে যার ভিডিও কপি করবেন তার ভিডীওর মুল অংশ কপি করে ইউস করতে পারবেন না । ইউস করলে আপনার ভিডিওতে স্ট্রাইক পরবে।
৪। একটা জিনিস আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে যে, মানুষের অরিজিনাল জিনিসের থেকে কপিরাইট জিনিস বেশি হয়ে যাওয়ার কারনে কখনো কখনো কোর্ট ফেয়ার ইউসের ব্যাতিক্রম করে। যেমন অপরাধি নামক একটি গান ভাইরাল হয়েছে এখন পাবলিক তাদের চ্যানেল র্যাংক করার জন্য অপরাধি দিয়ে হাজার হাজার গান ডুপ্লিকেট তৈরি করেছে এখন অরিজিনালের থেকে কপিরাইট জিনিস বেশি হোওয়ায় কোর্ট এর বিপরিত ডিশিসন নিতে বাধ্য হয়।
ফেয়ার ইউস নিয়ে কাল্পনিক ধারনাঃ
কিছু জিনিস নিয়ে ভুল তথ্য আছে যেগুলোকে ইউটিউব ম্যাজিক ওয়ার্ড বলতেছে। এবং তারা বলতেছে অনেকেই জানে যে তাদের ভিডিওতে যদি তারা এই ম্যাজিক ওয়ার্ড গুলো ইউস করে তাহলে তারা সুরক্ষিত তাদের ভিডীওতে স্ট্রাইক পড়বেনা। ইউটিউব বলতেছে এগুলো স্মপুর্ন ভুল তথ্য।
ইউটিউব বলতেছে প্রকৃতপক্ষে এমন কোন সিস্টেম নেই যা আপনি আপনার নিজস্ব নয় এমন কপিরাইটযুক্ত উপাদান ব্যবহার করার সময় আপনি ন্যায্য ব্যবহারের দ্বারা সুরক্ষিত থাকবেন।
উপরে চারটি জিনিস বনর্না করা হয়েছে সেগুলো ক্ষেত্রেই সুধু আপনি কপিরাইট জিনিস ইউস করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ যেখানে কোর্ট আপনাকে কোন গ্যারান্টি দিচ্ছেনা ইউটিউব আপনাকে কোন গ্যারান্টি দিচ্ছেনা সেখানে অনেক বড় বড় ইউটিউবারা আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছে তারা শিখিয়ে দিচ্ছে তা ইউস করার জন্য আর আপনি তা ইউস করছেন। আপনার কাছে আমার প্রশ্ন উপরের জিনিস গুলো পড়ার পর আপনি কি এখন নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছেন? যাই হোক আমরা আগে বাড়ি।
১। ভিডিও ক্রেডিটঃ
আপনি কপিরাইট উপাদান ইউস করার পর ভিডিওর ডেস্ক্রিপশনে ক্রেডিট দিলেন যে এই ভিডীওর ক্রেডিট অমুক চ্যানেলের মালিক বা তার ভিডীওর লিংক দিলেন। এই কাজটা করলে আপনি সুরক্ষিত নন।
২। পোস্ট ডিস্ক্লাইমারঃ
আপনি মনে করলেন যে ভিডিও যখন শুরু হবে তখন আপনি ভিডিও ডিস্ক্লাইমার ইউস করবেন তাহলে আপনার ভিডিওতে স্ট্রাইক পড়বেনা এতা আপনার ভুল ধারনা।
৩। এন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও এবং নন প্রফিট ভিডিও অটোমেটিক্যালি ফেয়ার ইউসঃ
অনেকেই মনে করে যে এন্টারটেইনমেন্ট ও নন প্রফিট ভিডিও গুলো আমি বানালাম আর এগুলো অটোমেটিক্যালি ফেয়ার ইউসের মধ্যে পড়ে যাবে। এটা সঠিক নয় ইউটিউব আপনার ভিডিওটি এনালাইসিস করবে যদি না সম্ভব হয় এটা কোর্টের আন্ডারে পরবর্তিতে কোর্ট ডিসিশন নিবে।
৪। কিছু সংখক ভিডিওর ইউসঃ
আপনি যদি একটু খানি ভিডীও নিয়ে ইউস করেন আর মনে করেন যে এটা ফেয়ার ইউসের মধ্যে পড়বে তাহলে এটা আপনার ভুল ধারনা এই ক্ষেত্রে ভিডিও অওনার আপনাকে ম্যানুয়াল স্ট্রাইক দিতে পারে।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment
Thanks