ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট থেকে যেভাবে সর্বোচ্চ স্পিড লুফে নিবেন।

পোষ্টটি বিস্তারিত ভাবে পড়ার আগে টাইটেলটি ভালো করে বুঝে নিন। আজকের পোষ্টটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টশন অপটিমাইজেশন নিয়ে করা হয়েছে। 

এখন আমি চাইলেই টাইটেলে রংচটা শব্দের ব্যবহার করতে পারতাম যেমন বাড়িয়ে নিন আপনার নেট স্পিড; তুফান গতির ইন্টারনেট সেটিংস করে নিন নিজে নিজে!; এক ক্লিক নেট স্পিড বাড়িয়ে নিন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এখানে আপনাকে অপটিমাইজেশন (Optimization) কথাটি আগে বুঝতে হবে। ধরুণ আপনি 5Mbps এর নেট লাইন ব্যবহার করেন। এখন আপনি ISP ভেদে ডাউনলোড স্পিড ভিন্ন পাবেন। অনেকে ডাউনলোড স্পিড 480Kbps ও পায় আবার অনেকেই ডাউনলোড স্পিড 500+Kbps ও পায়। এখন অপটিমাইজেশন এর মানে হলো আপনি যে স্পিড এর নেট কানেক্টশন ব্যবহার করছেন সেটা থেকে যেন আপনি সর্বোচ্চ স্পিডটুকু উপভোগ করতে পারেন। তার মানে এই নয় যে 5Mbps এর লাইনে অপটিমাইজ করে আপনি 7/8 Mbps এর স্পিড পেয়ে যাবেন। অনেকেই আবার Mbps এবং MBps এর মাঝে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন!
আজকের পোষ্টে বিস্তারিত ভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অপটিমাইজেশন নিয়ে আলোচনা করা হবে, এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনিও আপনার বাসার / অফিসের ব্রডব্যান্ড লাইন থেকে সর্বোচ্চ স্পিডটুকু উপভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, যারা ব্রডব্যান্ড হ্যাকিং বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়ে এই পোষ্টে এসেছে তারা ভূল করলেন! কারণ এখানে হ্যাকিং নিয়ে কোনো কিছুই বলা হবে না।
ব্রডব্যান্ড অপটিমাইজেশন কাজটি সম্পূর্ণভাবে আপনাকেই এবং আপনার ডিভাইসেই করতে হবে। এখানে ISP বা রিমোটভাবে কারো হাত থাকবে না। নিদির্ষ্ট স্পিডের লাইন ব্যবহার করার পরেও যদি দরকারি কোনো ফাইল ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখেন যে স্পিডের নাজেহাল অবস্থা তাহলে নিচের পদ্ধতিগুলো আশা করবো আপনার উপকারে আসবে। ইন্টারনেট অপটিমাইজেশন সাধারণ তিনভাবে করা যায়, সেগুলো হলো ক) Software ট্রিক্স, খ) Hardware টিক্স এবং গ) বেসিক সিকুরিটি টিক্সের মাধ্যমে।
বি:দ্র: নিচের দেখানো টিপসগুলো ব্রডব্যান্ড ছাড়াও অনান্য নেট পদ্ধতিতেও কাজ করবে তবে পোষ্টটি লেখা এবং বুঝার সুবির্ধাতে ব্রডব্যান্ড লাইনকে আলোকপাত করা হলো।

১) আপনার ইন্টারনেট স্পিড

প্রথমেই আপনাকে জেনে নিতে হবে যে আপনি ন্যায্য স্পিড পাচ্ছেন কিনা। মানে যে স্পিডের ব্রডব্যান্ড প্যাকেজ আপনি ব্যবহার করছেন আপনার ডিভাইসে আদৌ সে স্পিড আসছে কিনা সেটা আগে আপনাকে চেক করে নিতে হবে। আর এটা চেক করা সবথেকে সহজ।

গুগল ক্রোম বা অন্য কোনো ব্রাউজারে (ব্রাউজারটি আপডেটেড হতে হবে) গিয়ে লিখুন www.fast.com এবং এন্টার দিন। অটোমেটিক ভাবে আপনার নেট স্পিড টেস্ট শুরু হয়ে যাবে। আর মাত্র ৫/৬ সেকেন্ডের মাথায় আপনি আপনার ডিভাইসের নেট স্পিড জেনে যাবেন।
নিচের Show More Info বাটনে ক্লিক করুন; তাহলে Ping, আপলোড স্পিড সহ extra অপশনগুলোও দেখতে পাবেন। উল্লেখ্য যে, এটাই হচ্ছে আপনার বেসিক এবং RAW ইন্টারনেট স্পিড। আপনার প্যাকেজ মোতাবেক ইউটিউব, FTP সার্ভার এবং টরেন্ট এর ডাউনলোড/আপলোড স্পিড এর থেকে ভিন্ন হবে।

২) ব্রাউজার আপডেট

ইন্টারনেট এর স্পিড ডেলিভারি অপটিমাইজেশন অনেকটাই আপনার ব্যবহৃত ওয়েব ব্রাউজারের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি কোনো আউটডেটেড এবং পুরোনো ব্রাউজার ব্যবহার করে তাহলে দেখবেন যে ওয়েব পেজগুলো লোড হতে একটু বেশি সময় নিবে। যেমন আপনি যদি উইন্ডোজ ৭ এর ডিফল্ট ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজারে আমাদের সাইটটি (pcbuilderbd.com) লোড দেন আর একই সাথে একই নেটে গুগল ক্রোমে সাইটটি লোড দেন তাহলে দেখবেন যে তুলনামূলকভাবে গুগল ক্রোম ব্রাউজারটি আগে সাইটটি লোড করে ফেলবে। এ কারণে আপনার ডিভাইসে আপনি যে ব্রাউজারই ব্যবহার করেন না কেন নেট থেকে সর্বোচ্চ স্পিড অপটিমাইজেশনের প্রথম ধাপটি হচ্ছে আপনাকে আপডেটেড ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে। তাই এক্ষুনি আপনার ব্যবহৃত ব্রাউজারটি আপডেট করে নিন (যদি নতুন আপডেট এসে থাকে)

৩) ব্যাকগ্রাউন্ড এক্টিভিটি

আপনার ইন্টারনেট স্পিড Slow হবার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান বিভিন্ন অ্যাপস, প্রোগ্রাম এবং সার্ভিস। এগুলো আপনার পিসির ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অবস্থায় থাকে এবং তারা দরকার মতো আপনার ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে থাকে। অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ যদি এসকল সার্ভিসে টেনে নেয় তাহলে আপনি দেখবেন যে ব্রাউজিং বা নরমাল ডাউনলোড করতেও সময় বেশি লাগছে বা ইন্টারনেট স্লো হয়ে গিয়েছে। এ জন্য যখনই আপনার মনে হবে যে নেট স্পিড স্লো তখনই টাস্ক ম্যানেজার চালু করে (Ctrl + Shift + Esc) নিন, Processes ট্যাব থেকে Network লেখায় ক্লিক করুন, তাহলে প্রসেসগুলো নেটওর্য়াক ইউসেজ এর ভিক্তিতে সাজানো হবে। যে যে প্রসেস/অ্যাপগুলো বেশি নেটওর্য়াক ইউজ করছে সেটা আপনি দেখতে পাবেন এবং দরকার না থাকলে সেগুলোর উপর রাইট ক্লিক করে বন্ধ করে দিতে পারবেন।
আরো বিস্তারিত বিবরণ জানতে হলে চলে যান Performance ট্যাবে আর সেটার নিচের দিকের Open Resource Monitor য়ে ক্লিক করুন।
রিসোর্স মনিটর চালু হলে Network অংশে আপনি বর্তমানে কি কি প্রসেস আপনার নেট কতটুকু পরিমাণে ব্যবহার করছে সেটা আপনি দেখতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে যে সিস্টেম প্রসেসগুলো আপনি এখান থেকে বন্ধ করতে পারবেন না (যেমন svchost.exe) ।

৪) টরেন্টিং

আপনি যদি টরেন্ট অ্যাপ ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে এই স্টেপটি স্কিপ করে যান। টরেন্ট অ্যাপ দিয়ে টরেন্ট ডাউনলোডের সময় সেটা যেমন আমাদের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে ঠিক তেমনি ভাবে এটা আপনার পিসির প্রসেস পাওয়ারকেও ব্যবহার করবে। একই সাথে ৫/৬টা বড় সাইজের টরেন্ট ডাউনলোড দিয়ে দেখুন; দেখবেন যে আপনার পিসির উল্লেখযোগ্য র‌্যাম % Torrent খেয়ে নিচ্ছে। তাই কোনো জরুরী কাজ করার সময় বা অনলাইনে গেমস খেলার সময় অবশ্যই টরেন্ট অ্যাপটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে নেবেন। সম্পূর্ণরূপে বলতে নিশ্চিত করে নেবেন যে ব্যাকগ্রাউন্ডে টরেন্ট যেন না চলে। এছাড়াও আপনি চাইলে টাস্ক ম্যানেজার থেকে Startup সেকশনে “Start xyzTorrent on system startup” ডিজেবল করে দিতে পারেন।

৫) DNS কাস্টমাইজেশন

আপনি চাইলে অটোমেটিক DNS এর স্থানে ম্যানুয়াল DNS ব্যবহার করতে পারেন। এতে ক্ষেত্র বিশেষে আপনি স্পিডের সুবিধা পাবেন। যেমন Steam এর নিজস্ব DNS রয়েছে সেটা ব্যবহার করলে Steam থেকে কোনো গেমস ডাউনলোডের সময় BDIX এর মতো ডাউনলোড স্পিড পাবেন। সিকুরিটি এবং স্ট্যাবিলিটির জন্য আপনি Google DNS, Open DNS কিংবা Cloudflare DNS এর যেকোনো একটিকে ব্যবহার করতে পারেন। তবে সবকিছুইতে স্বাভাবিক ভাবে গুগলের DNSটি এগিয়ে থাকবে।
গুগলের DNS কনফিগারেশন ব্যবহার করতে চাইলে নিচের IP এড্রেসগুলো ব্যবহার করুন:
IPv4 এর জন্য : 8.8.8.8 অথবা 8.8.4.4.
IPv6 এর জন্য : 2001:4860:4860::8888 অথবা 2001:4860:4860::8844
এবং Open DNS কনফিগারেশণ ব্যবহার করতে চাইলে নিচের IP এড্রেসগুলো ব্যবহার করুন:
IPv4 এর জন্য :
Preferred DNS server: 208.67.222.222
Alternate DNS server: 208.67.220.220
IPv6 এর জন্য :
Preferred DNS server: 2620:0:ccc::2
Alternate DNS server: 2620:0:ccd::2

৬) রাউটারের জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন

আপনি যদি WiFi এর মাধ্যমে নেট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে রাউটারের জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করতে হবে। আর এটা আপনাকে নিজে নিজেই করতে হবে, ইন্টারনেট ঘেঁটে আপনি আপনার জন্য সঠিক স্থান এর জন্য আইডিয়া পেতে পারেন। সবসময় চেষ্টা করবেন ঘরের মাঝামাঝিতে রাউটার যেন রাখা হয়, যাতে সকল রূমে WiFi সিগন্যালটি ছড়িয়ে যেতে পারে। মাইক্রোওয়েব থেকে রাউটারকে একটু দুরে রাখবেন আর রাউটারের এন্টিনাকেও নিজের মতো করে সাজিয়ে নেবেন। এন্টিনা যদি লম্বালম্বিভাবে (upwards) রাখেন তাহলে সমতলভাবে (Horizontal) বেশি সিগন্যাল ছড়াবে আর যদি বামে/ডানে সাইড করে রাখেন তাহলে উল্লম্বভাবে (vertical) বেশি সিগন্যাল ছড়াবে।

৭) সঠিক WiFi চ্যানেল ব্যবহার

ওয়াইফাই চ্যানেলের মধ্যে ক্রসফায়ারের কারণেও আপনার ডিভাইসে ওয়াইফাই সিগন্যাল তুলনামূলকভাবে কমে যায় আর তার ফলে স্পিডও কমে যায়। কিভাবে সঠিক WiFi চ্যানেল ব্যবহার করবেন এবং কেনই বা ওয়াইফাই চ্যানেল নিয়ে মাথা ঘামাবেন সেটা নিয়ে আমার আলাদা পোষ্ট রয়েছে, সেখানে বিস্তারিতভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে যদি আপনার বাসার আশেপাশে ততোধিক WiFi ইউজার থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার সঠিক WiFi চ্যানেল সেটিংস করে নেওয়া উচিত। পোষ্টটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

৮) শক্তিশালি সিগন্যালের জন্য Repeater

আপনার বাসার সাইজ যদি প্রমাণ সাইজের থেকেও বড় ও বিশাল হয়ে থাকে আর আপনি চাচ্ছেন একটি রাউটার দিয়েই পুরো বাড়িকে কভার করে ফেলতে আবার দামী রাউটারেও ইনভেস্ট করতে চাচ্ছেন না তাহলে আপনার জন্য পারফেক্ট গ্যাজেট হচ্ছে WiFi Repeater। ধরুণ আপনার বাসায় রুম রয়েছে ৮টি। ১ম রুমে রাউটারটি রাখার পর সেটার সিগন্যাল ৪র্থ রুম পর্যন্ত গিয়ে তারপর আর সিগন্যাল পায় না। এবার আপনি ৪র্থ রুমে একটি WiFi Repeater সেটআপ করে ফেললেন। তাহলে হবে কি রিপিটারের লিমিট পর্যন্ত সিগন্যাল বেড়ে যাবে। তখন দেখবেন যে অষ্টম রুম পর্যন্ত শক্তিশালি WiFi সিগন্যাল পাচ্ছেন। আর এখন বাংলাদেশে শাওমির রিপিটার পাওয়া যায় বিধায় হাজারের নিচেই ভালো মানের Repeater পেয়ে যাবেন।

৯) ক্যাবল কানেক্টশন

বাসায় ব্রডব্যান্ড লাইন নেবার সময় এখন অনেক ISP কোম্পানি আপনার প্যাকেজের মধ্যেই রাউটারের দাম অন্তর্ভুক্ত করে নিয়ে রাউটারে সেটআপ করে দিয়ে যায়। আর আপনি WiFi দিয়ে (রাউটারের মাধ্যমে) আপনার বাসার সকল ডিভাইসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট উপভোগ করেন। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে রাউটারের WiFi ছাড়াও Ethernet ক্যাবলের মাধ্যমেও কিন্তু নেট ব্যবহার করা যায়। আর ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে WiFi এর থেকে তুলনামূলক একটু বেশি ইন্টারনেট স্পিড আপনি উপভোগ করতে পারবেন। বিশেষ করে FTP , ইউটিউব, Steam ইত্যাদি থেকে ডাউনলোডের সময় দেখবেন যে ক্যাবল কানেক্টশনে একটু বেশি স্পিড পাচ্ছে, এছাড়াও অনলাইন গেমিংয়ের Ping / Latency এর ক্ষেত্রেও ক্যাবল কানেক্টশনে বেশি সুবিধা পাবেন।

১০) CMD ব্যবহার

CMD বা কমান্ড প্রমোট হচ্ছে উইন্ডোজের একটি মাস্টার পিস টুল। আপনি যদি কমান্ড প্রমোট চালানোর জ্ঞান রাখেন তাহলে উইন্ডোজের প্রায় অনেক কিছুকে নিয়েই “খেলা” করতে পারবেন। আর ইন্টারনেটের বিভিন্ন ports, DNS Flush সহ TCP Receiver উইন্ডো পর্যন্ত সেট করে দিতে পারেন। আপনাদের অনেকেই জানেন যে, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যাকগ্রাউন্ডে ইন্টারনেট কানেক্টশনকে লিমিট করে রাখে। আর একটি কমান্ড প্রমোট কমান্ডের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
প্রথমে Administrative ভাবে cmd চালু করুন। তারপর নিচের কমান্ডটি কপি পেস্ট করে এন্টার দিন।
netsh interface tcp show global
এতে কমান্ড প্রমোটে বেশ কিছু TCP লিস্ট দেখতে পাবেন । সেখান থেকে চেক করে নিন যে “Receive Window Autotuning level” এটা Normal রয়েছে কিনা। যদি Normal না লেখা থাকে তাহলে নিচের কমান্ডটি কপি পেস্ট করে এন্টার দিন; কমান্ডটি receive windows কে normal করে দেবে:
netsh int tcp set global autotuninglevel=normal
এছাড়াও নিচের কমান্ডটিও কপি পেস্ট করে এন্টার করুন। কমান্ডটি মাইক্রোসফটের Heuristic Algorithm কে ডিজেবল করে দেবে যেটা ইন্টারনেট স্পিড লিমিটের জন্য দায়ী:
netsh interface tcp set heuristics disabled
*কমান্ডগুলো প্রয়োগ করার পর পিসি রিবুট / রিস্টার্ট দিয়ে নিবেন।

বোনাস টিপস:

উপরের পদ্ধতিগুলো ছাড়াও আপনি চাইলে নিচের টিপসগুলোকেও অনুসরণ করতে পারেন।
ক) রাউটার, পিসি এবং অনান্য ডিভাইস যেগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন সেগুলোকে চেষ্টা করবেন যেন সেগুলো ঠান্ডা থাকে বা Heat Up যাতে না হয়। গরম বা হিট হলে ডিভাইসগুলো তাদের পূর্ণ পারফরমেন্সে কাজ করতে পারে না। আর এটা পরোক্ষভাবে আপনার ইন্টারনেট স্পিড এর উপর প্রভাব ফেলবে। যেমন অতিরিক্ত গরম হয়ে থাকা রাউটারে বিভিন্ন ধরণের ম্যালফাংশন দেখা দিতে পারে।
খ) পিসিকে ভাইরাসমুক্ত রাখুন। ভাইরাস, ম্যালওয়্যার এবং Adware ইত্যাদির কারণে ইন্টারনেট স্পিডেও আপনি বিভিন্ন ম্যালফাংশন দেখতে পারেন। তাই নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস আপডেট এবং Real Time Protection কখনোই বন্ধ করবেন না।
গ) রাউটারের এডমিন পেজের সিকুরিটি লগইন কাস্টমাইজ করে নিন। কখনোই একে Default হিসেবে রেখে দিবেন না। হ্যাকারদের কাছে রাউটার ব্রান্ডের ডিফল্ট লগইন কালেক্ট করা কোনো ব্যাপারই না। রাউটারে অবশ্যই WPA2 কিংবা নতুন WPA3 এনেবল রয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন। আর নেটওর্য়াকের SSID (WiFi নাম) এর ঘরে বাংলায় লিখতে চেষ্টা করুন। বাংলায় মানে “Fahad Net” এভাবে না লিখে “ফাহাদ নেট” ইউনিকোডে লিখে ফেলুন।
ঘ) যেসকল ইলেক্ট্রিক ডিভাইস 2.4GHz এবং 5GHz তরঙ্গ ব্যবহার করে সেগুলোর থেকে রাউটারকে যথাসম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
আর সবকিছু ফলো করার পরেও যদি দেখেন আপনার মাইগ্রেটকৃত প্যাকেজ অনুযায়ী স্পিড পাচ্ছেন না তাহলে আপনার ISP এর সাথে সমস্যাটি নিয়ে কথা বলুন।

Thanks For Visit & Website Reading and Watching Our Video, Please Join Our Facebook Pages And Groups

No comments :

No comments :

Post a Comment

Thanks