করোনা ভাইরাস রুখতে কিছু কথা Covid19 In Bangladesh
বর্তমানে বাংলাদেশ এক করুন
পরিস্থিতির সিকার । দিন দিন করোনা ভাইরাসে রোগির সংক্ষা বাড়ছে
। নেই কোন উন্নত মানের চিকিৎসা ব্যাবস্থা । ডাক্তারদের নেই রোগিদের চিকিৎসা দেওয়ার
মত কিট সরঞ্জামাদি।
এমন এক করুন পরিস্থিতীতে আমরা বর্তমানে অবস্থান করছি । দিন মজুর যারা আছেন তারা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আর আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন । সব কিছু যেনো ঠিক করে দেন আল্লাহ তাওলা । করোনা ভাইরাসে যারা আক্রান্ত চিকিৎসা করানোর মতো নেই তাদের কাছে টাকা। অসংখ ছোট বাচ্চা শিশু না খেয়ে কান্না করছে মায়ের বুকে । মা শান্তনা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে । বাবা হতাশ হয়ে বসে আছে , আল্লাহর দিকে তাকিয়ে পার্থনা করছে ।
কি বা করার এমন পরিস্থিতিতে
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে আমাদের সোনার বাংলাদেশের , আমাদের প্রিয় জন্ম ভূমির । আমাদের
প্রিয় মাতৃভূমির।
আমাদেরকে ফিরে তাকাতে হবে
সবাইকে দেশের সার্থের জন্য কাজ করতে হবে ১৯৭১ সালের মত দল বল নির্বিশেষে আমাদেরকে এক
হতে হবে । কে কোন দল করলো কে কোন ধর্ম অবলম্বন কারি এগুলো দেখার সময় আর আমাদের নাই।
আমাদেরকে এখন সামনে বাড়তে
হবে । সর্বপ্রথম আমাদের বুকে সাহস যোগাতে হবে দেশের সরকার ও প্রশাসন এবং মিডিয়ায় এক
মাত্র একান্ত প্রচেষ্টা আমাদের দেশের জন্য এখন সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন।
দেশের সরকার কাজ করছে ,
দিক নির্দেশনা দিচ্ছে , চেস্টা করছে , যতটুকুই
দিচ্ছে তা আমাদের জন্য অতি সামান্য তবে এই করুন পরিস্থিতিতে এটুকুই অনেক বড় পাওয়া বলে
মনে করছি । ডাক্তার রা কাজ করছে নিজের জীবন বাজি রেখে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছে
, নার্সদের অবদান তো আরো বেশি , যারা হাসপাতাল পরিস্কার পরিছন্ন রাখছে তাদের অবদান
ভুলার মতন না । সবাই দেশের জন্য যে যা যতটুকু পাড়ছে কাজ করছে । পুলিশ প্রশাসন র্যাব
আর্মি সবাই তাদের জিবনের মায়া ত্যাগ করে পথে নেমেছে দেশের
জন্য যুদ্ধ করছে এক প্রকার।
সকল মুসলিম ও ইমানদার ব্যাক্তিদের
অবদান আরো বেশি তারা নামায পড়ে আল্লাহর কাছে কান্না করছে তাহাজ্জুত পড়ে অঝরে চোখের
জল ঝরাচ্ছে আর বলছে হে আল্লাহ আমাদের হেফাযত করো আমাদের দেশকে বাচাও ।
গার্মেন্ট কর্মীরা কাজ করছে
ডাক্তারদের প্রটেকশন কাপড় মাস্ক তৈরিতে ব্যাস্ত নিজেদের জিবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করছে
ভয় করছেনা মারা যাওয়ার, সেচ্ছায় মৃতুবরন করতে প্রস্তুত। অথছো আমরা তাদের নিচু করে দেখি
দাম দিতে চাইনা তাদের। কতই না কস্ট দেই তাদের।
মসজিদের ইমাম রা চোখের জল
ঝড়িয়ে পার্থনা করে চলছে , অথচ আমরা তাদের কতইনা অবজ্ঞা করি অপমান করি অসিক্ষিত বলে
, আরো কত্ত কি, এসব লিখতে গেলে অনেক সময় পেড়িয়ে যাবে , গাড়ির ড্রাইভার দিন মজুর শ্রমিকরা
আজ কতই না কস্টে না খেয়ে দিন পার করছে অথচ আমরা যারা বিত্তবান আছি আমরা নিজেকে নিয়ে
ব্যাস্ত তাদের দিকে নজর দিয়ে যে তাদের সাহায্য করবো সেই মন মানসিকতা টুকু খুব কম সংখক
লোকেরি আছে।
আমরা কি করছি সমাজ ব্যাবস্থা
নস্ট করে ফেলেছি একে অপরকে সম্মান করতে জানিনা সবাই এটা ভাবি নিজে বড় নিজেকে বড় বানানোর
জন্য আর এক ভাইকে ছোট করে তাদের অপমান করি , নিজের দলের প্রশংসা করতে যেয়ে আজ অন্যকে
ছোট করছি , কি লাভ হচ্ছে এগুলো করে একবার ভাবুন তো , আমরা সবাই ইচ্ছা আমাদের দেশকে সুন্দর করে গড়তে পাড়ি । আমি নিজে ঠিক
হই আগে , এক সময় দেখবো সবাই ঠিক হয়ে গেছে সোনার বাংলা গড়তে বেশি সময় লাগবেনা । সবাই
নিজের জীবন যেমন আজ দেশের জন্য দিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছি এমন সব সময় মনোভাব রেখে দেশকে
আগে বাড়াতে হবে ।
দেশপ্রেম যে কতই মধুর এবং
শান্তির এটা তখনি অনুভব করতে পারবো যখন নিজেকে
বিলিয়ে দিতে পারবো ।
পরিশেষে লিখলে লিখে শেষ
করতে পারবনা আমাদের ভুল গুলি , তাই শুধু যেটুকু করলে নিজেকে সংশোধন করা যাবে সেটুকুই
লিখছি , আমরা সবাই একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল সবাইকে সমান অধিকার দিতে হবে সম্মান করতে
হবে সুন্দর করে কথা বলার অভ্যাস করতে হবে বোঝানোর অভ্যাস বাড়াতে হবে, রাগ কমাতে হবে
নিজেকে ছোট ভাবতে হবে । দেশের জন্য সবাইকে মিলে মিশে কাজ করতে হবে যে যতটুকু পারি তার
চেয়ে বেশি করার চেস্টা করতে হবে।
তাহলেই আমরা একদিন সোনার
বাংলা সমসাজ গরতে পারবো , আর সোনার বাংলা সমাজ গরা মানেই সোনার বাংলাদেশ গড়া ।
দল বল নির্বিশেষে একই সাথে
কাজ করবো এই প্রতিজ্ঞা করি আর সবাই সুন্দর করে কথা বলতে শিখি এবং বলার চেস্টা করি অপরকে
সম্মান করি নিজেকে ছোট ভাবি দেশের জন্য জীবন দেওয়ার ইচ্ছা পোষন করি এবং সেই মতাবেগ
কাজ করি । যারা যারা এই ভিডীও টি দেখে নিজের চিনাতা ভাবনা গুলোকে পরিবর্তন করে দেশকে
সত্যিকারের অর্থে ভালোবাসবেন তাদের প্রতি সেলুট করেই ভিডীও টি সমাপ্ত করছি ।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment
Thanks